সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র: প্রথম পুরস্কার জিতেছেন ০১০৮৩৩১ নম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত: পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের বোর্ড বাতিলের কারণে গ্রাহকদের সেবা অব্যাহত থাকবে পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করল ডিএসই ও চিটস্টক দুর্বল ৫ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রগতির মাইলফলক: মির্জা ফখরুল নাহিদ ইসলাম: জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকবে না মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: সরকার নির্বাচন ব্যাহত করতে নিজেই পরিস্থিতি তৈরি করছে বিএনপি গণভোটে আলোচনা করতে রাজি নয়, জামায়াতের হামিদুর রহমানের দাবি জনমত গঠনে রাজপথে জামায়াত: হামিদুর রহমান
নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার প্রতিরোধে সাত দফা দাবি হিন্দু মহাজোটের

নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার প্রতিরোধে সাত দফা দাবি হিন্দু মহাজোটের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচার কাজে ধর্মের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে মহাজোটের নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরেন।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে জানান, আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে কমিশন একমত হয়েছেন এবং তারা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে। সিইসি সুন্দর পরিবেশে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব জোরদার করে বলেছেন, শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর অনেক এলাকাতেই দেখা গেছে বাসাবাড়ি, মঠ ও মন্দির ভাঙচুর হয়েছে। এ ধরনের অশান্তির যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য আমরা সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন, এবার কেউ যেন আমাদের উপর অত্যাচার করতে না পারে। আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে-পরে হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা অনেক উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে দুর্গাপূজা ও নির্বাচন এগুলো নিয়ে আমাদের ভয়ের কারণ আছে। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘু মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকারণে আঘাত হয়েছে। তবে এবার কমিশন বলেছে, অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’

সিইসির আশ্বাসে জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু ভোটারা নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ফিরে আসার সময়ও আতঙ্কে ভুগবেন না। যদি কোনও অপ্রিত्यक्ष বা প্রত্যক্ষ আঘাত হানা হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বিশেষ করে ভোটে পক্ষ-প্রতিপক্ষের ব্যাপক প্রস্তুতি ও সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকায় এ বিষয়ে কমিশনও বিস্তারিত মনোযোগ দিয়েছে।

সিইসির উদ্ধৃতি দিয়ে পলাশ কান্তি দে জানিয়েছেন, ‘এবারের দুর্গাপূজা খুবই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা দেখেছি, এই নিরাপত্তার বলয় আরও শক্তিশালী করে ভোটের দিন নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবি হলো: ভোটের ১০ দিন আগে ও পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি, মঠ ও মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করা, ভোটকালে সেনা মোতায়েন, সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ নিষিদ্ধ, ধর্মের ব্যবহার না করে ভোট করার ব্যবস্থা, হামলা হলে সেই নির্বাচনী এলাকা ও সংশ্লিষ্ট ভোটের স্থগিত ও তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি, সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন এবং ভোট কেন্দ্রে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে নির্বিঘ্নতা নিশ্চিত করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd